ঢাকা,মঙ্গলবার 30 April 2024, ১৭ বৈশাখ ১৪৩০, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

তুর্কি এফ-১৬-কে টার্গেট গ্রিক ক্ষেপণাস্ত্রের

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় পর্যবেক্ষণ মিশনে থাকা তুরস্কের একটি এফ-১৬ জঙ্গি বিমানকে গ্রিক ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে হয়রানি করার অভিযোগ করেছে তুরস্কের রাষ্ট্র-পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদুলু অ্যাজেন্সি। তুরস্ক এটিকে বৈরী তৎপরতা হিসেবে বিবেচনা করেছে। তবে গ্রীস অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

দুই প্রতিবেশী দেশ ও ন্যাটো সদস্যের মধ্যে বিরোধ অব্যাহত থাকার প্রেক্ষাপটে নতুন অভিযোগ উত্থাপিত হলো।

গত ২৩ আগস্ট ঘটনাটি ঘটে বলে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি তুর্কি সূত্র সংবাদ সংস্থাকে জানায়। তিনি গ্রিসের এই কাজকে 'বৈরী তৎপরতা' হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি এই ঘটনাকে ন্যাটোর নীতিমালার লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেন।

সূত্রটি জানায়, বৈরী তৎপরতা সত্ত্বেও বিমান তাদের পরিকল্পিত মিশন সম্পন্ন করে নিরাপদে ঘাঁটিতে ফিরে আসে।

ক্রিট আইল্যান্ডে মোতায়েন রুশ-নির্মিত এস-৩০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে তুর্কি বিমানকে হয়রানি করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। সূত্রটি জানায়, রাশিয়ার নির্মিত এস-৪০০ ক্রয় নিয়ে ন্যাটোর অনেক সদস্য দেশ তুরস্কের সমালোচনা করলেও গ্রিসের এস-৩০০ নিয়ে ওইসব দেশ কিছুই বলছে না।

তবে গ্রিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র তুরস্কের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, গ্রিসের এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম কখনো তুর্কি এফ-১৬ বিমানকে টার্গেট করেনি।

গ্রিস প্রায় ২৫ বছর আগে এস-৩০০ কিনেছিল।

তুরস্ক ২০১৭ সালের এপ্রিলে রাশিয়ার সাথে এস-৪০০ কেনার চুক্তি করে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বলে আসছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র ন্যাটোর ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

এদিকে গত শুক্রবার তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকর বলেন, গ্রিস তার দেশের লোকজনের অর্থ দিয়ে পুরনো অস্ত্র ব্যবহার করছে তুরস্কের বিরুদ্ধে। তিনি আবারো তুরস্কের বিরুদ্ধে গ্রিসের আগ্রাসী নীতির সমালোচনা করেন।

সূত্র : আলজাজিরা ও ডেইলি সাবাহ

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ