রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

শেয়ারবাজারে মুনাফায় ফিরেছে ১০ কোম্পানি

স্টাফ রিপোর্টার: চলতি বছরে মুনাফায় ফিরেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানি। এর মধ্যে রয়েছে- হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, ন্যাশনাল টিউব, আনলিমা ইয়ার্ন, জাহিন স্পিনিং, ইভিন্স টেক্সটাইল, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, আফতাব অটোমোবাইল, স্টাইলক্রাফট, হাক্কানী পাল্প ও রহিমা ফুড। এক বছর আগেও লোকসানে ছিল কোম্পানিগুলো।

সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে কোম্পানিগুলো চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনে মুনাফার এ চিত্র উঠে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে- হাইডেলবার্গ সিমেন্ট: চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৬ টাকা ৮৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৯৭ পয়সা লোকসান হয়। ন্যাশনাল টিউব: চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ১৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৪৩ পয়সা লোকসান হয়। আর ২০২২ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৬৬ পয়সা লোকসান হয়।

আনলিমা ইয়ার্ন: চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ১২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ১১ পয়সা লোকসান হয়। আর ২০২২ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৩৪ পয়সা লোকসান হয়। জাহিন স্পিনিং: চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ১১ পয়সা লোকসান হয়। আর ২০২২ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৫৫ পয়সা লোকসান হয়।

ইভিন্স টেক্সটাইল: চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ১৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ১৯ পয়সা লোকসান হয়। ২০২২ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৩৫ পয়সা লোকসান হয়। 

 সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল: চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ১৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৫৯ পয়সা লোকসান হয়। আর ২০২২ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৬০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৭৫ পয়সা লোকসান হয়।

আফতাব অটোমোবাইল: চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) করেছে ২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৩৯ পয়সা। চলতি বছরের তিন মাসে মুনাফা হওয়ায় চলমান হিসাব বছরের নয় মাসেও (২০২২ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত) কোম্পানিটি মুনাফায় রয়েছে। চলমান হিসাব বছরের নয় মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৬৫ পয়সা। স্টাইলক্রাফ্ট: চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৬৫ পয়সা লোকসান হয়। আর ২০২২ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে এক টাকা ৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৪ টাকা ৮৬ পয়সা লোকসান হয়।

হাক্কানী পাল্প: চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ১২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ২০ পয়সা লোকসান হয়। আর ২০২২ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৭০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি এক টাকা ৬ পয়সা লোকসান হয়। রহিমা ফুড: চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৮১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ২ পয়সা লোকসান হয়। আর ২০২২ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ১ টাকা ১৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৬ পয়সা লোকসান হয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ