রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

টানা চার সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার

স্টাফ রিপোর্টার: গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে, বেড়েছে তার থেকে বেশি। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন দেড় হাজার কোটি টাকার ওপরে বেড়ে গেছে। একই সঙ্গে বেড়েছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ। পাশাপাশি বেড়েছে সবকয়টি মূল্যসূচক। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ২০ শতাংশের ওপরে। আর প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ। এর মাধ্যমে টানা চার সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী থাকলো শেয়ারবাজার।

দাম কমার তুলনায় দাম বাড়ার তালিকা বড় হলেও গত কয়েক মাসের মতো তালিকাভুক্ত অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানের ক্রেতা সংকট ছিল গত সপ্তাহজুড়েও। ফলে দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে রয়েছে। ক্রেতা না থাকায় ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট বিক্রি করতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। এমন পরিস্থিতিতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসই’র বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭৪ হাজার ২৮১ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৭২ হাজার ৫৫৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই’র বাজার মূলধন বেড়েছে এক হাজার ৭২২ কোটি টাকা বা শূন্য দশমিক ২২ শতাংশ। বাজার মূলধন বাড়ার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৯২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১০৮টির শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮১টির। আর ২০৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২৯ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ। 

 

আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৩৫ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ। তার আগের দুই সপ্তাহে বাড়ে ১৭ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ এবং ৩ দশমিক ২৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। অর্থাৎ টানা চার সপ্তাহ বাড়লো ডিএসই’র প্রধান সূচক।

প্রধান মূল্যসূচকের সঙ্গে বেড়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। সপ্তাহজুড়ে সূচকটি বেড়েছে ২ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৩ দশমিক ২২ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ। ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ সূচকও গত সপ্তাহে বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে সূচকটি বেড়েছে ৮ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি ২ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ বাড়ে।

সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১০৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৯১৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ১৮৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা বা ২০ দশমিক ৪১ শতাংশ। এর মাধ্যমে চলতি বছরে এই প্রথম এক সপ্তাহে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে হাজার কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হলো। আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৫২১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয় ৪ হাজার ৫৮৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে এক হাজার ৩৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা বা ২০ দশমিক ৪১ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৯৪ কোটি ৬৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নাভানা ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬৮ কোটি ৯২ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। ১৬২ কোটি ৮৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ইউনিক হোটেল, বসুন্ধরা পেপার, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জেমিনি সি ফুড, ইস্টার্ন হাউজিং এবং সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ