শনিবার ১৮ মে ২০২৪
Online Edition

কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে আসছে সাপ!

দু’দিনের সময় দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে সাবেক চেয়ারম্যানকে: ডিবি  

নাছির উদ্দিন শোয়েব: কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সনদ জালিয়াতির ঘটনায় কেঁচো খুঁড়তে  যেনো বেরিয়ে এসেছে সাপ! বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে গ্রেফতারের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে। জিজ্ঞাসাবাদে সনদ জালিয়াতির ঘটনায় তিনি নিজে এবং স্ত্রীকে নির্দোষ দাবি করে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে সন্তষ্টু হতে পারেনি গোয়েন্দারা। তারা বলছেন, বের্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি এর দায় এড়াতে পারেন না। তাকে দুই দিনের সময় দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তিনি নজরদারিতে আছেন। আলী আকবর খানের বিষয় তদন্ত চলছে। তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকে গ্রেফতারও করা হতে পারে। 

এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। এরমধ্যে অন্তত ২৫ জন গোয়েন্দা নজরদারিতে আছেন। এছাড়া জালিয়াতিতে উঠে আসছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সরকারের অন্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামও। তাদের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে গ্রেফতার করা হতে পারে আরো কয়েকজনকে। ডিবি সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেট জালিয়াতির সঙ্গে বোর্ডের সদস্য সাবেক চেয়ারম্যানের স্ত্রীসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে শুধু এই ছয়জন জড়িত নয়, বোর্ডের আরও কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত। রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় হওয়া এ সংক্রান্ত মামলায় এখন পর্যন্ত কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার সেলের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামান, তার ব্যক্তিগত সহকারী ফয়সাল, কুষ্টিয়া গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার কলি, কামরাঙ্গীরচর হিলফুল ফুজুল টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান ও ঢাকা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মো. মাকসুদুর রহমান ওরফে মামুনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি লালবাগ বিভাগ। এছাড়াও জালিয়াতির সঙ্গে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আরও তিন কর্মকর্তার নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিবিএ নেতা আব্দুল বাছের, রেজিস্ট্রেশন শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামার মামুনুর রশীদ ও বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জাকারিয়া আব্বাস। তারা বিভিন্ন সময় বোর্ডের কম্পিউটার সেলের সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামানকে শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট পরিবর্তন ও জাল সার্টিফিকেট তৈরি করার কথা বলতেন। তাদের দাবি অনুযায়ী, এ কে এম শামসুজ্জামান সার্টিফিকেট তৈরি ও রেজাল্ট পরিবর্তন করে দিতেন। তবে এজন্য তারা শামসুজ্জামানকে কোনো টাকা দিতেন না। একই বোর্ডের লোক হওয়ায় শামসুজ্জামান তাদের কাছে টাকা চাইতে সাহসও পেতেন না। তদন্ত সূত্রে জানা যায়, শামসুজ্জামানের সার্টিফিকেট দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলা হয় দুদকে। দুদকের উপ-পরিচালক পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা মামলার তদন্তের জন্য শামসুজ্জামানকে ডাকেন। এরপর থেকে দুদকের ওই কর্মকর্তাকে বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন শামসুজ্জামান। কিন্তু সেই কর্মকর্তাকে ম্যানেজ না করতে পেরে দুদকের উপ-পরিচালক পদমর্যাদার আরেক কর্মকর্তার দারস্থ হন। দুদকের দুজন উপ-পরিচালক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট জালিয়াতির মামলায় এ ঘটনার মূলহোতা শামসুজ্জামানকে অব্যাহতি দিয়েছেন। গ্রেফতার এ কে এম শাসমুজ্জামান ও তার ব্যক্তিগত সহযোগী ফয়সাল গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি সার্টিফিকেট ও মার্কশিট বানিয়ে ভুয়া লোকদের কাছে হস্তান্তর করেছে। একই সঙ্গে সরকারি ওয়েবসাইটে, সরকারি পাসওয়ার্ড, অথরাইজেশন ব্যবহার করে ভুয়া লোকদের মধ্যে বিক্রি করা সার্টিফিকেটগুলোকে বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে। ফলে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যে কোনো দেশে বসে এ ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর গুগলে সার্চ করলে তা সঠিক পাওয়া যায়।  

স্ত্রীসহ নিজেকে নির্দোষ দাবি বোর্ডের চেয়ারম্যানের: কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সনদ জালিয়াতির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদে দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খান। ডিবি পুলিশ তাকে দুদিনের সময় দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। এর মধ্যে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়ার সুযোগ পাবেন তিনি। স্ত্রী ও নিজে ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন বলেও দাবি করেন সদ্য বরখাস্ত এই চেয়ারম্যান। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ বলেছেন, জালিয়াতিতে আলী আকবরের অপরাধের তথ্য-প্রমাণ মিললে তার বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সনদ জালিয়াতির ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে গতকাল মঙ্গলবার ডিবি কার্যালয়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর ডিবি কার্যালয়ের সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন হারুন অর রশীদ। হারুন অর রশীদ বলেন, আগারগাঁও পীরেরবাগ, পাইকপাড়ায় সিস্টেম এনালিস্ট শামসুজ্জামানের বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। সেখানে কারখানা তৈরি করেছিলেন। তিনি কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে হাজার হাজার কাগজ এনে জালিয়াতি করতেন। এই সনদ জালিয়াতির ঘটনায় আমরা ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। এর মধ্যে পাঁচজন সব দোষ স্বীকার করে আর কারা কারা জড়িত ও দায় রয়েছে সে সম্পর্কে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। ডিবি প্রধান বলেন, সদ্য ওএসডি হওয়া চেয়ারম্যানের স্ত্রীকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তিনি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন যে, তিনি সিস্টেম এনালিস্ট শামসুজ্জামানের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। শামসুজ্জামান ও কারিগরির চেয়ারম্যানের স্ত্রী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। হারুন অর রশীদ বলেন, আজকে আমরা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য ওএসডি হওয়া চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আমরা জানতে চেয়েছি যে, সার্টিফিকেট চুরির করার ওয়েবসাইটের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আপলোড করা সনদ অনিয়ম করা হয়েছে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস! কীভাবে? তিনি একজন চেয়ারম্যান। তিনি নির্দেশনার নেতৃত্ব দেন। সেই প্রতিষ্ঠান থেকে কাগজ নিয়ে যাচ্ছে, সিসিটিভি আছে, তারা দেখছেন। এভাবে জালিয়াতি হলো! আবার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সার্টিফিকেটগুলোতে স্বাক্ষর করে গেছেন মাসের পর মাস। কলেজগুলোর পরীক্ষার সঙ্গে মিলিয়ে দেখে সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর করা। তিনি সেটি করেননি। হারুন বলেন, এই ঘটনাগুলো কি অবহেলায় চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক করেছেন? নাকি স্বপ্রণোদিতভাবে করেছেন কিনা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। কেন জেনেও আপনারা ব্যবস্থা নিলেন না? তখন চেয়ারম্যান ডিবিকে বলেছেন, আমাদের লোকবল কম ছিল। নজরদারি সম্ভব হয়নি। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সার্টিফিকেট কেনাবেচা হচ্ছে, সার্টিফিকেট বানানোর পর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপলোড হচ্ছে। মানুষ সার্টিফিকেট, প্রতিষ্ঠান কিনছে। জানার পরও এসব হলে দায় এড়াতে পারেন কি-না? তখন চেয়ারম্যান বলেন, সেই দায় ইচ্ছেকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত? অবহেলা নাকি বায়াস্ট? স্ত্রীর বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেছেন। জানতেন না দাবি করেছেন।

হারুন বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নজিরবিহীন জাল-জালিয়াতির ঘটনা ইতিহাসে শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য কলঙ্কিত ও কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত করার মতো ঘটনা। আমি মনে করি, কারিগরির চেয়ারম্যান দায় এড়াতে পারেন না। কোনো সুযোগ নেই। আমরা এখন দেখবো, তিনি আসলে আসল সনদ বিক্রির বিষয়টি জানতেন কি-না? তার তো জানার কথা? তিনি তো আসল সার্টিফিকেট বিক্রির মাধ্যমে শিক্ষা ও জাতির মেরুদ- ভেঙ্গে দিয়েছেন। তিনি কো কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন, তার তো জানার কথা, একটা মানুষ কতো পরিশ্রম করে ভালো রেজাল্ট করতে পারছে না, সেখানে পড়াশোনা না করেই টাকা দিয়ে আসল সার্টিফিকেট কিনে নিচ্ছে। এটা কাক্সিক্ষত না। হারুন অর রশীদ বলেন, সনদ জালিয়াতির ঘটনায় তার দায় সম্পর্কে সঠিক ব্যাখ্যা দিতে হবে। প্রয়োজনে তাকে এক দুদিনের সময় দিবো। তিনি যদি সঠিক ব্যাখ্যা দিতে না পারেন আর আমরা যদি তার সংশ্লিষ্টতা বা অনৈতিক যোগসাজশের তথ্য-প্রমাণ পাই তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। হারুন বলেন, পরীক্ষার হলে নকল প্রতিরোধে আমরা কাজ করেছি, অপরাধী চক্রকে গ্রেপ্তার করেছি। অথচ দুঃখজনক হলো, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, তার পরিবার, সিস্টেম এনালিস্ট, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মিলে সিন্ডিকেট বানিয়ে যেভাবে প্রতারণা, সনদ জাল-জালিয়াতি করা হয়েছে তা নজিরবিহীন। এটা আসলে কাম্য হতে পারে না, তাই জড়িত প্রত্যেককে আমরা একে এক আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। কাউকে ছাড় দিবো না। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও চেয়ারম্যান জানার পরও ব্যবস্থা না নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আরেকটু তদন্ত করবো। জানার পরও কেন ব্যবস্থা নেয়া হলো না? ইচ্ছেকৃত, অবজ্ঞা নাকি অনিচ্ছায় জেনেও ব্যবস্থা নেননি তা জানার চেষ্টা করবো। দায় এড়ানোর তো সুযোগই নাই। তিনি তো ইতোমধ্যে ওএসডি হয়েছেন।

দায় এড়াতে পারেন না চেয়ারম্যান: ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেছেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সনদ জালিয়াতির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদে দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খান। তিনি বলেন, আসল সার্টিফিকেট বিক্রি করে টাকা নেয়ার বিষয়টি আমাদের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এই সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনা লজ্জাজনক। দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। স্ত্রী যে টাকাটা নিতেন সেটা তিনি জানেন কিনা?পারিপাশ্বিক তথ্য প্রমাণ লাগবে। হারুন অর রশীদ বলেন, সার্টিফিকেটগুলো কারা কিনেছেন, কোথায় কোথায় বিক্রি হয়েছে। সেটা দেখা হবে। বুয়েটের একটা পরীক্ষক দল আসবেন। বিশ্লেষণ করে দেখা হবে আসলে কি পরিমাণ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছিল। কি পরিমাণ টাকা লেনদেন করা হয়েছে। তদন্ত আরও চলবে। কারা টাকা দিয়েছে, কারা সনদ নিয়েছে। তারা কখন কাকে কি পরীমাণ টাকা দিয়েছেন! আর্থিকভাবে চেয়ারম্যান জড়িত তা খুঁজে বের করা হবে। সব কিছু তদন্ত করা হবে। তাকে ছেড়ে দেয়া হলেও ডিবির নজরদারিতে থাকবেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওএসডি চেয়ারম্যান আলী আকবর খান।

রিমান্ড শেষে স্ত্রী কারাগারে: সনদ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুই দিনের রিমান্ড শেষে শেহেলা পারভিনকে আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানান। অন্যদিকে তার পক্ষে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতে মিরপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন। এর আগে শনিবার শেহেলা পারভীনকে আটক করা হয়। রিমান্ড শেষে পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, কারিগরি বোর্ডের সনদ বাণিজ্য মামলার প্রধান আসামি এ টি এম শামসুজ্জামান এবং সহযোগী আসামী সানজিদা আক্তার ওরফে কলি ইতিমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ