শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

দিনাজপুর মধ্যপাড়া রেঞ্জের গাছ কেটে বনের জমি দখলের হিড়িক

নবাবগঞ্জ(দিনাজপুর) সংবাদদাতা : দিনাজপুরের মধ্যপাড়া ফরেস্ট রেঞ্জের বনের গাছ কেটে জমি দখলের হিড়িক পড়েছে। এলাকাবাসী অভিযোগে জানা গেছে চুরি ও দখল ঠেকাতে স্থানীয়দের সাধে বন বিভাগের দুরুত্ব বেড়েই চলেছে। নিরাপত্তাহীনতায় জীবনের ঝুকি নিয়ে বিট কর্মকর্তা ও বন প্রহরীদের অবস্থান করতে হচ্ছে। মধ্য পাড়া ফরেস্ট রেঞ্জ এর আওতায় ৯নং কুশদহ ইউনিয়নের গিলাঝুকি মৌজায় বন বিভাগের রোপন করা মেহগনিসহ বিভিন্ন প্রজাতীর বনজগাছ রাতের আঁধারে কেটে নিয়ে বদরগঞ্জ এলাকায় ঘিন্নই নদীতে সাঁকো নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে নবাবগঞ্জ কুশদহ ইউনিয়নের গিলাঝুকি ও পার্শ্ববতী রংপুর জেলার বদরগঞ্জ এলাকার প্রভাবশালী কাঠচোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা গাছ কেটে বনভুমির উজাড় করতে মাঠে নেমেছে। একদিকে গাছকর্তন অপরদিকে জমি দখলসহ বনের জমিতে কৃষি ফসল উৎপাদন ও আম বাগান করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের অর্থ। দখলদারদের উচ্ছেদ করতে ও নতুন করে বনায়ন সৃষ্টির ব্যাপক কর্মসূচী হাতে নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে বনবিভাগ। চোরসিন্ডিকেটের সদস্যরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থেকে বনেরজমি দখলে মেতে উঠেছে। বনের জমি দখলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৯নং কুশদহ ইউনিয়নের হত্যার মতো জঘন্য ঘটনা বিরাজমান। মধ্যপাড়া ফরেষ্ট রেঞ্জের কর্মকর্তা মোঃ রঞ্জিবুল আমিন জানান গাছচোর আর অবৈধ দখলকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে থানায় ও আদালতে মামলা করা হয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। নাম না জানার শর্তে কয়েকজন এলাকাবাসী জানালেন ভূমিদস্যুরা বনের জমি দখল করে পজেশন বিক্রি বাণিজ্য জমজমাট ভাবে চালাচ্ছে। বনবিভাগের মধ্যপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা অবৈধ জমি উদ্ধার ও নতুন বনায়ন সৃষ্টি করতে নিরলস ভাবে কাজ করছেন। এলাকা বাসীরা দাবি করে জানান বনায়ন সৃষ্টি হলে এলাকার মধ্য বিত্ত ও নি¤œ বিত্ত পরিবারের লোকজন উপকারভোগী নির্বাচিত হয়ে বনের গাছ বিক্রয়লব্ধ অর্থ পেয়ে অনেকে এখন স্বাবলম্বী হয়েছে। বনের গাছ কেটে ফেলার অপরাধে সদর বিট কর্মকর্তা মো. আতিয়ার রহমান বাদী হয়ে আফতাবগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দাখিল করেছে। এ ঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে এর সত্যতা পেয়ে থানায় প্রেরণ করেছি। এ বিষয়ে ৯নং কুশদহ ইউপি চেয়্যারম্যান আবু শাহাদত মোঃ সায়েম সবুজ জানান, বনের গাছ কেটে সাঁকো নির্মাণের কোন প্রয়োজন নেই। বর্তমানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নবাবগঞ্জ এলাকায় চাহিদা মাফিক সেতু, কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। যারা সাঁকো নির্মাণের মিথ্যা আশ্বাসে বনের গাছ কাটছে তারা অপরাধী। জমি উদ্ধার করে বনায়ন সৃষ্টি করা হলে রেঞ্জর আওতাভুক্ত এলাকার মানুষেরা আর্থিক ভাবে লাভবান হবে। তিনিও জবর দখল হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধার ও বনায়ন সৃষ্টিতে সহায়তা করার আশ্বাস দেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ