শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ঢাকায় ১৮৭৪ সালে পাইপ লাইনে পানি সরবরাহের ইতিহাস

মুহাম্মদ নূরে আলম : আবদুল গনি শুধুমাত্র ঢাকার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ কিংবা আহসান মঞ্জিলের নির্মাতাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একাধারে  ঢাকার নওয়াব, দানশীল, সমাজসেবী ও মানুষের সুখ দুঃখের বন্ধু। আবদুল গণি মাত্র ১৮ বছর বয়সে খাজাপরিবারের কতৃত্ব গ্রহণ করেছিলেন। ১২৫৩ সালের ২৭শে বৈশাখ আনুষ্ঠানিকভাবে খাজাপরিবারের ওয়াকফনামা ও সর্বময় ক্ষমতা তার হাতে তুলে দেয়া হয়। খুব অল্প সময়ে জনপরিসরে তিনি প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন। ঢাকাবাসীকে পানিবাহিত নানা রোগের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ১৮৭৮ সালে ঢাকায় স্থাপন করা হয় পানি শোধনাগার ‘ঢাকা ওয়াটার ওয়ার্কস’। এটি নির্মাণে অর্থায়ন করেছিলেন ঢাকার নবাব খাজা আব্দুল গনি। আর সেই দান ছিল দুই লাখ টাকার। ওয়াটার ওয়ার্কস বানানোর কাজ শুরু হয় ১৭৭৪ সালে। আর এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ভারতের তৎকালীন ২৯তম ভাইসরয় (২ মে, ১৮৭২ থেকে ১২ এপ্রিল ১৮৭৬) লর্ড নর্থব্রুক। সেই ওয়াটার ওয়ার্কসের ছবি এঁকেছেন হেনরি ব্রিজেস মোলসওয়ার্থ। তিনি পেশাদার কোনো শিল্পী নন। প্রকৌশলী হিসেবে রেললাইন স্থাপনের জন্য জরিপ ও নির্মাণকাজের জন্য তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। এ সময় তিনি নিজ কর্মস্থলের বেশ কিছু ছবি এঁকেছিলেন মনের খোরাক মেটানোর জন্য। ঢাকায় প্রথম পরিশ্রুত পানি সরবরাহ করা হয়েছিলো ওয়াটার ওয়ার্কস থেকে । ১৮৭৮ সালের আগে ঢাকায় খাবার পানির উৎস ছিল কুয়ো বা নদী । ভিস্তিরা মশকে করে পানি দিয়ে যেতেন ঘরে ঘরে । ঢাকায় নিয়ত মহামারীর কারণ ছিল পরিশ্রুত পানির অভাব । ১৮৭১ সালে নবাব আবদুল গনি উপাধি পেলেন কে.সি.এস. আই । এই আনন্দে তিনি ঢাকার স্থায়ী কল্যাণে দান করতে চাইলেন পঞ্চাশ হাজার টাকা । এ কারণে গঠিত হলো একটি কমিটি। কমিটি অনেক ভেবেচিন্তে পরিশ্রুত পানি সরবরাহের প্রকল্প গ্রহণ করলো কিন্তু নবাবের সেই দানে প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্ভব ছিলনা । আবদুল গনি তখন দানের পরিমাণ দ্বিগুণ করে দিলেন কিন্তু শর্ত দিলেন- ঢাকাবাসীদের পানি দিতে হবে বিনামূল্যে । নবাব আহসানউল্লাহ বললেন, ওয়াটার ওয়ার্কস নির্মিত হলে তিনি তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দেবেন পঞ্চাশ হাজার টাকা । সরকার বললেন, পানি সরবরাহের জন্য পাইপ বসানোয় দেবেন নব্বই হাজার টাকা । এসব প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে ১৮৭৪ সালে, তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড নর্থব্রুক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ওয়াটার ওয়ার্কস-এর । ঢাকার কমিশনার এফ.বি. পিকক তা উদ্বোধন করেন । প্রথম দিকে পানি সরবরাহের জন্য চার মাইল দীর্ঘ পাইপ বসানো হয়েছিলো । পরে, নবাব আহসানউল্লাহর দানে তা আরো বাড়ানো হয়। এক হিসেবে জনা যায়, ১৮৯৩ সালে ৩, ৬০,০০০ গ্যালন পানি দৈনিক সরবরাহ করা হতো ষোল মাইল দীর্ঘ পাইপ লাইনের সাহায্যে । তথ্যসূত্র : মুনতাসীর মামুন। পাইপ লাইনে পানি সরবরাহের ইতিহাস: ঢাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ইতিহাস ও একজন নওয়াব আবদুল গণি। ঢাকা শহর মানে হচ্ছে অসংখ্য নাগরিক সমস্যার একটি সমাহার। পানি, গ্যাস, বিদ্যুত, ট্র্যাফিক জ্যাম, বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণসহ আরও নানাবিধ নাগরিক সমস্যাই যেন এই চিরচেনা শহরের চেনা রূপ। তবুও যে সকল আধুনিক সুযোগ সুবিধা সীমিত পরিসরে এই শহরে পাওয়া যায়, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ। যদিও চাহিদার তুলনায় তা কোনোভাবেই পর্যাপ্ত নয়। প্রশ্ন আছে সরবরাহকৃত পানির মান নিয়েও। তবুও আজকে আমরা ঢাকা শহরের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ইতিহাস অনুসন্ধান করার চেষ্টা করব। ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পারি, ঢাকা শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের কাজে যে ব্যক্তিটি সবার আগে তার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, তিনি নওয়াব আবদুল গণি। যদিও আমরা এই নওয়াবকে অধিকতর চিনে থাকি আহসান মঞ্জিলের নির্মাতা হিসাবে। নওয়াব আবদুল গণি ও তার পুত্র খাজা আহসানউল্লাহর দানের টাকা এবং তৎকালীন ঢাকা পৌরসভা ও বাংলা সরকারের সমন্বিত প্রচেষ্টায় ১৮৭৪ সালে ‘চাঁদনীঘাট পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্ট’-এর মাধ্যমে ঢাকায় প্রথমবারের মতো বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের কাজ শুরু হয়। (অধ্যাপক মুনতাসির মামুন তার ঢাকা সমগ্র গ্রন্থে চাঁদনীঘাট পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্টের উদ্বোধনকাল ১৮৭৮ সাল উল্লেখ করেছেন, যদিও বাংলাপিডিয়ার অনলাইন ভার্সনে ১৮৪৭ সালের কথা উল্লেখিত রয়েছে। তবে তৎকালীন ‘বেঙ্গল টাইমস’ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে অধ্যাপক মুনতাসির মামুনের তথ্যই সঠিক বলে প্রতীয়মান হয়)।
চাঁদনীঘাট পানি শোধনাগার: ১৮৬৪ সালে ঢাকা পৌরসভা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হলেও অন্যান্য অনেক নাগরিক সুবিধার অনুপস্থিতির পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানির অভাবও ছিল। ১৮৭৮ সালের পূর্ব পর্যন্ত ঢাকার পেয় পানির উৎস ছিল বুড়িগঙ্গা নদী, বিভিন্ন পুকুর-ডোবা খাল ও নোংরা পাতকুয়ার পানি। স্বাস্থ্যকর শহর হিসেবে ঢাকার কখনোই সুনাম ছিল না। তখন প্রতি বছর এ শহরে মহামারীতে অনেক মানুষের মৃত্যু হতো। মহামারীর সবচেয়ে বড় কারণ ছিল বিশুদ্ধ পানির অভাব। পৌরসভার এমন কোনো সামর্থ্য ছিল না যে নগরবাসীর জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করবে। তবে বিশুদ্ধ খাবার পানি কীভাবে সরবরাহ করা যায়, তা নিয়ে তৎকালীন ঢাকার কমিশনার ও বাংলা সরকারের মধ্যে বেশ চিঠি আদান-প্রদান হয়। ১৮৭২ সালে এ ধরনের একটি প্রতিবেদন পেশ করেন ঢাকার কমিশনার এবারক্রম্বি। সে প্রসঙ্গে অধ্যাপক মুনতাসির মামুন লিখেছেন, তার চিঠি থেকে জানা যায়, ১৮৭১ সালে ঢাকার নওয়াব আবদুল গণি কে. সি. এস. আই. উপাধি পান। একই সময়ে প্রিন্স অব ওয়েলসও অসুস্থ অবস্থা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন। আবদুল গণি এ কারণে পঞ্চাশ হাজার টাকা দান করেছিলেন এবং ঢাকাবাসীর মঙ্গলার্থে তা ব্যয়ের অনুরোধ জানিয়েছিলেন। ১৮৭১ সালের ডিসেম্বরে ঢাকার কমিশনার সিমসন সরকারকে তা অবহিত করেন এবং ঢাকাবাসীদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। অনেক আলোচনার পর কমিটি ঠিক করে নওয়াব গণির দানকৃত অর্থে নগরবাসীর জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করাই হবে উত্তম কাজ। এ জন্য তারা যে ব্যয়ের হিসাব ধরেন, তার পরিমাণ ছিল ছত্রিশ হাজার ঢাকা।
এবারক্রম্বি তার এক বছর পরে জানাচ্ছেন যে, কমিটির অনেকেই মনে করছে এ পরিমাণ যথাযথ নয়। এ পর্যায়ে কমিটির সদস্যদের সঙ্গে নওয়াব আহসানউল্লাহর আলোচনা হয়। আহসানউল্লাহ জানান, এ পরিকল্পনা কার্যকর করার জন্য যদি আরও অর্থের প্রয়োজন হয় তাহলে তিনি তা দেবেন এবং এ পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আরো পঞ্চাশ হাজার টাকা দান করেন। পিতা পুত্রের সম্মিলিত দানের পরিমাণ দাঁড়ায় এক লক্ষে। কিন্তু এতেও তখন সব সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে কমিটি আবার প্রকল্প ব্যয় নিয়ে আলোচনা শুরু করে। তখন প্রশ্ন ওঠে, কমিটি না হয় প্রকল্পটি সম্পন্ন করলো, কিন্তু এরপর এর মেইনটেন্যান্স বা পরিচালনার খরচ বহন করবে কে? কেননা এই মেইনটেন্যান্স একটি দীর্ঘমেয়াদী ব্যাপার। তাছাড়া নওয়াব আবদুল গণি ও আহসানউল্লাহ উভয়েই কমিটিকে এই শর্ত দেন যে, এই প্রকল্প পরিচালনা বাবদ ঢাকাবাসীর উপরে কোনো ধরনের কর আরোপ করা যাবে না। এ পরিপ্রেক্ষিতে পৌরসভার সঙ্গে কমিটির আলোচনা অপরিহার্য হয়ে ওঠে। অবশ্য কমিটি ঠিক করেছিলো, প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে তা পৌরসভার হাতে তুলে দেয়া হবে। যা-ই হোক, পৌরসভার কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করলেন কমিটির সদস্যরা। কমিশনারগণ জানালেন, না, প্রকল্প চালু রাখার মতো অর্থ তাদের কাছে নেই। ফলে বিষয়টি বেশ জটিল হয়ে ওঠে।
কমিটি তখন আবার বৈঠকে বসে। তখন অনেকে অনেক ধরনের যৌক্তিক-অযৌক্তিক প্রস্তাবনা দিতে থাকেন। অনেকে বললেন, এতই যখন অসুবিধা, তখন একটি শিল্পকেন্দ্রিক বিদ্যালয় বা স্কুল অফ আর্টস প্রতিষ্ঠা করা যাক। সেখানকার লভ্যাংশ থেকে প্রকল্পের ব্যয় বহন করা যাবে। অনেকে ধনী লোকদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে একটি ফান্ড গঠনের প্রস্তাবও দিলেন। সে টাকা বিনিয়োগ করে যে মুনাফা পাওয়া যাবে, তা থেকে মেইনটেন্যান্স খরচ চালানো যাবে। তাছাড়া খাজা আহসানউল্লাহ চাচ্ছিলেন ঢাকাবাসীদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার জন্যই যেন টাকাটি ব্যবহৃত হয়। অন্য কোনো জনকল্যাণমূলক কাজে যেন এই অর্থ ব্যবহৃত না হয়। ফলে কমিটির বিকল্প প্রকল্প গ্রহণের সুযোগও ছিল না। এমতাবস্থায় কমিটি ভীষণ জটিলতার মুখোমুখি হয় এবং তারা কোনোরূপ মীমাংসা করতে ব্যর্থ হন। এ পর্যায়ে এসে আহসানউল্লাহ জানালেন যে তিনি আবার তার পিতার সাথে এ ব্যাপারে কথা বলবেন। পিতার সঙ্গে আলোচনার পর আহসানউল্লাহ কমিশনার এবারক্রম্বিকে জানালেন যে এই ব্যয়ের জন্য নবাব গনি আরো পঞ্চাশ হাজার টাকা দান করবেন। তবে, এ টাকাটা ‘সেফ ইনভেস্টমেন্ট’ হতে হবে। অর্থাৎ এমন কোনো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে হবে, যেখান থেকে ভালো ‘ইন্টারেস্ট’ পাওয়া যাবে। তা থেকে প্রকল্পের মেইনটেন্যান্স খরচ বহন করা হবে। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা নগরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্পের স্বপ্নযাত্রা শুরু হয়। নওয়াব আবদুল গণি ও খাজা আহসানউল্লাহর দানশীলতায় মুগ্ধ হয়ে ঢাকার তৎকালীন কমিশনার এবারক্রম্বি গভর্নরকে লিখলেন, আবদুল গণি এবং আহসানউল্লাহ যে ধরনের উদারতা দেখান, আজকাল আর তা দেখা যায় না কিন্তু এর একধরনের স্বীকৃতি পাওয়া উচিত। লে. গভর্নর জর্জ ক্যাম্পবেল খুশি হয়ে নওয়াব আবদুল গণি ও খাজা আহসানউল্লাহকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখলেন, আপনারা যা করেছেন তা লোক দেখানোর জন্য নয় এবং এটা সাধারণ মানুষের মঙ্গলার্থেই আপনারা করেছেন। আমি মনে করি, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ঢাকার জন্য সবচেয়ে বড় কাজ। এরপর ক্যাম্পাবেল নির্দেশ দিলেন এ ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে যে চিঠিপত্রে আদান-প্রদান হয়েছে তা গেজেট প্রকাশের জন্য। এটি ছিল মূলত নবাবদের দানের সরকারি স্বীকৃতি। অবশেষে ঢাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য লর্ড নর্থব্রুক ১৮৭৪ সালে ওয়াটার ওয়ার্কসের ভিত্তি স্থাপন করলেন। কিন্তু কাজ চলছিলো ধীরগতিতে। তারপর একসময় দেখা গেল পৌরসভার টাকাও শেষ কিন্তু প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। সরকার তখন বাধ্য হয়ে প্রকল্প শেষ করার জন্য আরো ৯৫,৩৫০ টাকা দিলো। মোট ১৯৫,৪৫০ টাকায় ওয়াটার ওয়ার্কসের কাজ সমাপ্ত হলো। ওয়াটার ওয়ার্কসের দৈনিক পানি সরবরাহের ক্ষমতা ছিল ২০০,০০০ গ্যালন। ১৮৭৮ সালের ২৪শে মে ঢাকার কমিশনার পিকক উদ্বোধন করলেন বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ব্যবস্থার এই প্রকল্পটি। ঢাকার প্রভাবশালী ইংরেজি পত্রিকা ‘বেঙ্গল টাইমস’ তখন মন্তব্য করলো, আমরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে প্রত্যক্ষ করছি যে, সারা ঢাকায় অবাধে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ হচ্ছে। সবার কাছে, এমনকি সামান্য শিশুর কাছেও পানির সুবিধা পৌঁছে যাচ্ছে। পানি সরবরাহের এই ঘটনা আমাদের কাছে অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। পৃথিবীর বুকে বিশুদ্ধ পানির স্বাদ গ্রহণের চেয়ে বড় কোন প্রাপ্তি হতে পারে না। তবে আরও বেশি পানি সরবরাহের প্রয়োজন। আমাদের বিশ্বাস সময়ের সাথে সাথে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আমাদের হৃদয়গ্রাহী নবাবের দানশীল মানসিকতা আমাদের একটি সফল সমাপ্তির দিকে নিয়ে যাবে। চলমান গরম আবহাওয়ার মধ্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ঢাকার হাজার হাজার মানুষের তৃষ্ণা মিটাতে সক্ষম হয়েছে। প্রথমদিকে এই বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের পাইপের দৈর্ঘ্য ছিল চার মাইল। একটি পাইপ চকবাজার ও কোতোয়ালি হয়ে গিয়েছিল মিটফোর্ড হাসপাতাল পর্যন্ত। কোতোয়ালি থেকে আরেকটি লাইন গিয়েছিল নারিন্দা হয়ে লোহারপুল পর্যন্ত। আরেকটি শেষ হয়েছিল জেলে (সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগার)। পুরো পথে লাগানো হয়েছিল পঁচিশটি হাইড্রেন্ট। সময়ের বিবর্তন ও প্রয়োজনে সেই বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ক্ষেত্র ও পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক গুণ। সীমাবদ্ধতাও রয়েছে অনেক। কিন্তু এই কাজটির শুরুটা হয়েছিল নওয়াব আবদুল গণির দানের টাকায়।
তথ্যসূত্র: ১/ মুনতাসীর মামুন, ঢাকা সমগ্র ১, প্রথম প্রকাশ ডিসেম্বর ১৯৯৫
২/ মুনতাসীর মামুন, ঢাকা সমগ্র ২, প্রথম প্রকাশ ডিসেম্বর ১৯৯৬
৩/নওয়াব আবদুল গনির দানের তালিকা: সূত্র, মুনতাসীর মামুন, ঢাকা সমগ্র ১: পৃষ্ঠা ৩২
৪/নওয়াব আবদুল গনির দানের তালিকা: সূত্র, মুনতাসীর মামুন, ঢাকা সমগ্র ১: পৃষ্ঠা ৩৩
৫/নওয়াব আবদুল গনির দানের তালিকা: সূত্র, মুনতাসীর মামুন, ঢাকা সমগ্র ১: : পৃষ্ঠা ৩৪

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ